

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফেনীর পরশুরামে পারিবারিক বিরোধ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের তদন্তে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক উপপরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার দক্ষিণ কোলাপাড়া এলাকার গুনাগাজী মজুমদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—পরশুরাম মডেল থানার এসআই মুন্না দে, কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম ও কনস্টেবল রুহুল আমিন।
পুলিশের তথ্যমতে, দক্ষিণ কোলাপাড়া এলাকার নাসির উদ্দিনের স্ত্রী শেফালি আক্তার পারিবারিক বিরোধ ও মারধরের অভিযোগ এনে একই এলাকার বনবিভাগ কর্মচারী ফারুক মিয়া, তাঁর ছেলে যুবদল নেতা রাজিব মজুমদার এবং পৌর যুবদলের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব এমাম হোসেন ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ যাচাই করতে তিন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যান।
তদন্তের সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তিনি ও তাঁর ছেলেরা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে অবমাননাকর শব্দ ছুড়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেন।
এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যই আহত হন। কনস্টেবল নাজমুলের পিঠে ছুরিকাঘাতের আঘাতও রয়েছে। হামলাকারীরা পুলিশ সদস্যদের পোশাক ছিঁড়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
এসআই মুন্না দে জানান, অভিযোগ তদন্তে গিয়ে কোনো উসকানি ছাড়াই হামলার শিকার হয়েছেন তাঁরা। তিনি আরও দাবি করেন, রাজিব ও ফয়সালের বিরুদ্ধে মাদক–সংক্রান্ত সম্পৃক্ততার অভিযোগও আগে থেকে রয়েছে।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা গুরুতর অপরাধ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হালিম মানিক বলেন, অভিযুক্তরা বিএনপির পদধারী। পারিবারিক বিরোধের সূত্রে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ তদন্তে গেলে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়, এবং তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
মন্তব্য করুন