

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এসময় ভাঙনের আতঙ্কে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের শতাধিক পরিবার। একই সঙ্গে বাবুগঞ্জ বাজার এলাকায় শতাধিক পরিবার সুগন্ধার ভাঙন আতঙ্কে রাত পার করছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মীরগঞ্জ সড়কটিও।
জানা গেছে, রহমতপুর-মীরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটি দিয়ে চার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বরিশাল শহর আসা যাওয়া করেন। বাবুগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র সড়কটির যেকোনো সময়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ।
এছাড়াও ক্ষুদ্রকাঠী গ্রাম ও বাবুগঞ্জ বাজার এলাকায় নদী ভাঙনের আশংকা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সুগন্ধা নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষুদ্রকাঠীসহ নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষুদ্রকাঠীর দিঘির পাড় (বটতলা) এলাকার রহমতপুর মীরগঞ্জ সড়ক থেকে নদী ১৫ গজের মধ্যে এসে পড়েছে। রহমতপুর-মীরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটি দিয়ে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বরিশাল শহরে আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন বিশাল মাটির খন্ড নদীতে ভেঙে পড়ছে।
ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের বাকি অংশ এবং মীরগঞ্জ সড়ক বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙন কবলিত মালেক হাওরাদার বলেন, সুগন্ধার ভাঙনে ইতিমধ্যে আমার বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আবার ভাঙন বাড়ি ছুয়েছে। তাছারা রহমতপুর-মীরগঞ্জ সড়কটি দিয়ে দুই তিনবার বাবুগঞ্জ বাজারে যাতায়াত করতে হয়।
যদি এই সড়ক নদীতে ভেঙে যায় তাহলে মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। বাবুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আরাফাত হোসেন ফরিদ জানান, এই সড়ক দিয়েই বাবুগঞ্জসহ তিন উপজেলার ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়া করে থাকেন। সড়কটি যদি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় তাহলে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
আমরা ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হবো। ক্ষুদ্রকাঠী গ্রাম, বাবুগঞ্জ বাজারসহ সড়কটির ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, সুগন্ধা নদীর ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন