

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মাদারীপুরের শিবচরে পেঁয়াজের বাজারে যেন হঠাৎ আগুন লেগেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে এখন পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের মুখে এখন নীরব আর্তনাদ।
শুধু পেঁয়াজ নয়, শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে যে সবজি বাজারে এসেছে—বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, টমেটো, শিম সব কিছুর দামই যেন আকাশচুম্বী। প্রতি কেজি সবজির দাম ৭০ থেকে ১২০ টাকার ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে। মাছের বাজারেও নেই স্বস্তি; ইলিশ, রুই, কাতলা—সবকিছুরই দাম যেন নাগালের বাইরে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে শিবচর পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বেশির ভাগ সবজি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো সবজির দাম আরো বেশি। কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে ১০০-১১০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১২০-১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শিম ৮০-৯০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, করলা ৭০-৭৫ টাকা, বরবটি ৯০-১০০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০-১১০ টাকা, পটোল ৪০-৬০ টাকা, ঢেড়স ৬০-৭০ টাকা, মুলা ৩০-৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫-৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, শসা ৪৫-৫০ টাকা মিষ্টি কুমড়া ৪৫-৬০,আলু ২০-২৫, গাজর ১৪০-১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৮০ টাকায়।
এদিকে, ব্রয়লার মুরগি এখন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা আর সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ ৪২০-৪৩০ টাকা, টেংরা মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৬০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৮০০-১১০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৩৫০ টাকা, বাইলা ১১০০ টাকা, ইলিশ ৭০০-১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ নিয়ে বড় ধরনের কারসাজি শুরু হয়েছে। সরবরাহে তেমন ঘাটতি না থাকলেও একটি চক্র বড় ধরনের সংকট দেখিয়ে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা তৈরী করছে। তাই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট এই কারসাজি নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা জোর দাবী জানিয়েছেন।
আঃ রাজ্জাক মিয়া নামক এক ক্রেতা জানান,এখন বাজারে নাভিশ্বাস অবস্হা।কোন কিছুই আমাদের নাগালের মধ্যে নেই।এই অবস্হা আর কিছুদিন চলতে থাকলে আমাদের টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে যাবে।তাই যেকোন উপায়ে বাজার ব্যবস্হা নিয়ন্ত্রন করা দরকার।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে; তাই তাদেরও বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান গত সপ্তাহে বৃষ্টি ও সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। আশা রাখি সরবরাহ বাড়বে এবং খুব দ্রুতই দাম কমে যাবে।
এই ব্যপারে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম ইবনে মিজান বলেন, "বর্তমানে বাজারে সবজি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে বাজারে কেউ সুযোগ নিচ্ছে কি-না তা নজরদারিতে রয়েছে। অনিয়ম ধরা পড়লে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। "
মন্তব্য করুন