

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের বিনায়েকপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এনটিআরসি নিয়োগপ্রাপ্ত এক নারী শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সামাদ শিক্ষক মোমেনা খাতুনের কাছ থেকে চাকরিতে যোগদানের সময় দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরবর্তীতে এমপিওভুক্তির নাম করে আরও বিশ হাজার টাকা চান তিনি। এমনকি সাম্প্রতিক অডিটের সময় মাদ্রাসার স্টাফদের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মোমেনা খাতুন বলেন, সে এনটিআরসি’র মাধ্যমে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পরও সুপার বারবার ঘুষের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ধরনের হয়রানি শুরু করেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করি। পরদিনই তাকে সেই সুপার অশালীন ভাষায় গালাগাল করে এবং একদিনের মধ্যে বরখাস্ত করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সুপার আব্দুস সামাদ তাঁর স্ত্রীকে সভাপতি করে পুরো মাদ্রাসাটি পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
হাজিরা খাতা ও ক্লাস রুটিনে দেখা গেছে, সুপারসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন শিক্ষক নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতে ক্লাস নিচ্ছেন মাদ্রাসার আয়া ও পিয়নরা। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নেমে এসেছে স্থবিরতা, ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সুপার আব্দুস সামাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাস জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ মিললে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন