সোমবার
১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
আমতলীতে ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি
expand
আমতলীতে ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি

দ্বিতীয় দিনেও বরগুনার আমতলী উপজেলার ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে পাঠদান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীরা আবার ফিরে যাচ্ছে, কেউ কেউ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরছে।

জানা গেছে, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ওইদিন বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক সমাজে। এর প্রতিবাদে এবং তিন দফা দাবির বাস্তবায়ন ও পুলিশের শাস্তির দাবিতে দেশব্যাপী কর্মবিরতির ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।

রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন সোমবারও আমতলীর কোনো বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়নি। বিদ্যালয় খোলা থাকলেও শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে বিদ্যালয় চত্বরে অবস্থান করে কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, এবং অভিভাবকরাও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন।

চুনাখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভির, জিনিয়া ও আব্দুল্লাহ বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাই ক্লাস হচ্ছে না। আমরা ক্লাস না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

অভিভাবক নূর জামাল ও মিরাজ অভিযোগ করে বলেন,বছরের শেষ সময়ে ক্লাস বন্ধ থাকায় সন্তানদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। সরকার যেন দ্রুত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়।

চুনাখালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৫ বছর চাকরি করেও এখনো ১৩তম গ্রেডে আছি। পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড বন্ধ রয়েছে। সরকার যদি দ্রুত দাবিগুলো মেনে নেয়, আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাব।

আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি এ কে এম জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চান, কিন্তু সরকার এখনো দাবি মেনে নেয়নি। প্রজ্ঞাপন জারি হলেই আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।

শিক্ষক-কর্মবিরতির কারণে উপজেলার ২৪ হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিভাবক ও সচেতন মহল দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন