

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক (বিএসএফ) ছররা গুলি ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৬টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেলেও তাঁদের পরিচয় ও অবস্থা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতরা গোপনে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর একই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে আবারো এ ধরনের ঘটনায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও অস্থিরতা বেড়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বিপরীতে ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ উপজেলার পকেটপাড়া গ্রাম। সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৪ নম্বরের উপপিলার ৩–এর শূন্যরেখার কাছাকাছি ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দল ছররা গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে সীমান্তপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও স্থানীয়ভাবে তিনজন গরু পারাপারকারী আহত হওয়ার কথা বলা হলেও, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ ঘটনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আঘাতপ্রাপ্তের তথ্য নিশ্চিত করেনি। সীমান্তে আহতরা সাধারণত গোপনে চিকিৎসা নেন বলে অনুসন্ধান করেও বিস্তারিত জানা যায়নি।
ঘটনার পর রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শ্রীরামপুর ক্যাম্প এবং শমসেরনগর কোম্পানি সদরের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বেলা ১২টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও বিএসএফ জানায়, তারা পরে বৈঠকের সময় জানাবে।
রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন বলেন, “গুলির ঘটনা জানা মাত্রই আমাদের সদস্যরা সীমান্তে পৌঁছায় এবং পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব পাঠানো হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, তারা পরবর্তীতে বৈঠকের সময় দেবে।”
মন্তব্য করুন