

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ‘সার্ভিস ডেলিভারি ডেস্ক’। কিন্তু সেই ডেস্ক এখন পুলিশ কর্মকর্তাদের মোটরসাইকেল রাখার জায়গায় পরিণত হয়েছে। ফলে অভিযোগ জানাতে এসে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বয়স্ক ও নারী সেবাগ্রহীতাদের দীর্ঘ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে কিংবা রোদে–বৃষ্টিতে কষ্ট করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, থানার ‘সার্ভিস ডেলিভারি ডেস্ক’-এর ভেতরে সারি সারি মোটরসাইকেল পার্ক করা। থানার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলগুলো জায়গা দখল করে নেওয়ায় ডেস্কের ভেতরে সেবা গ্রহণ বা বসার কোনো সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় থানার সামনে গাছ লাগানো জায়গার নিচে বসে থাকতে দেখা গেছে একাধিক সেবাগ্রহীতাকে। তারা অভিযোগ জানাতে বা সেবা নিতে এসে অপেক্ষা করছিলেন সেখানেই।
থানা–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একসময় এই ডেস্কে ডিউটি অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বসে সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের প্রাথমিক সহায়তা দিতেন। সেখানে চেয়ারে বসে প্রায় ৫০–৬০ জন মানুষ অপেক্ষা করতে পারতেন। ছিল তথ্য–সহায়তার ব্যবস্থাও। এখন সেটি পুরোপুরি ব্যবহার–অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ জানাতে আসা সুলতানা বেগম বলেন, “এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আমার পায়ে বাত আছে। আগে শুনেছি এখানে বসে কথা বলা যেত, এখন দেখি সব মোটরসাইকেলে ভর্তি। বসার কোনো জায়গাই নেই।”
বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য কোনো অপেক্ষার স্থান না থাকায় তাদের কষ্ট আরও বেড়েছে বলে জানান উপস্থিত কয়েকজন সেবাগ্রহীতা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিবিরুল ইসলামের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, “এটি তো সার্ভিস ডেস্ক হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে কেউ যদি মোটরসাইকেল রাখে, সেটি আমার জানা নেই। এমন কিছু হয়ে থাকলে মোটরসাইকেল সরিয়ে আবারও সার্ভিস ডেস্ক হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করা হবে।”
মন্তব্য করুন