

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এবং ভারত সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৯ নভেম্বর) জেলা পুলিশ ব্যাপক সাঁড়াশি অভিযান চালায়। ভোর ৪টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে নিয়মিত মামলা, সাজা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলাজুড়ে অভিযানকালে চরের গভীর এলাকা থেকে অপরাধীদের ব্যবহৃত দুটি অস্থায়ী তাঁবু, একটি স্পিডবোট, দুটি নৌকা, তিনটি মোটরসাইকেল, তিনটি মোবাইল ফোন ও অস্ত্র রাখার বিশেষভাবে তৈরি দুটি চেম্বার উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এবং তদারকি করেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন) শেখ জয়নুদ্দীন, পিপিএম-সেবা। অভিযানে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৩১৫ জন সদস্য অংশ নেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ৩০ অক্টোবর পদ্মার চরাঞ্চলে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে আরও একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। বর্তমানে এলাকাটিতে পুলিশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোলাইমান শেখ এনপিবি নিউজকে বলেন,"সকাল থেকে চলা অভিযানে দৌলতপুর থানা এলাকা থেকে আমরা পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।বাকি আসামিদের সম্পর্কে ভেড়ামারা ও কুমাখালী থানা পুলিশ বলতে পারবেন "
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান এনপিবি নিউজকে বলেন, কুমাখালী থানা এলাকার পদ্মার চর থেকে চারজনকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ বলেন,"আমরা দৌলতপুর, ভেড়ামারা ও কুমারখালী এলাকায় সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।"
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে কাকন ও মণ্ডল বাহিনীর পাশাপাশি টুকু, সাইদ, লালচাঁদ, রাখি, কাইগি, রাজ্জাক, বাহান্ন বাহিনীসহ ডজনখানেক সশস্ত্র দলের সক্রিয়তা রয়েছে।
মন্তব্য করুন