

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের দাশকান্দী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাজারটির পশ্চিম-দক্ষিণাংশে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ফার্মেসি, মিষ্টান্ন, কাপড় ও শুঁটকির দোকানসহ আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মায়া মেডিকেল হলের মালিক দেবাশীষ রায় চৌধুরী বলেন, “আমার বাবা প্রয়াত পবিত্র রায় চৌধুরীর হাতে গড়া শতবর্ষী প্রতিষ্ঠানটি আজ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।”
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মিয়া জানান, “খবর পেয়ে ভোর পৌনে ৫টায় আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী চাঁন মিয়া জানান, “ভোর সাড়ে ৪টার দিকে প্রথমে একটি দোকানে আগুন লাগে। এরপর দ্রুত পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পরে ফায়ার সার্ভিস এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।”
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ক্ষুধিরাম বর্মণ, সঞ্জিত, হিমাংশু, আব্দুল আউয়াল ও ইব্রাহিম মিয়া বলেন, “আমাদের চোখের সামনেই একের পর এক দোকান পুড়ে গেল। কিছুই করতে পারিনি, বুঝতেই পারলাম না কীভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ল।”
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. মহিউদ্দিন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নেন এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৩ লাখ টাকা সহায়তার ঘোষণা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দাশকান্দী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মুছা সরকার, বিএনপি নেতা মুহাম্মদ মজিবুর রহমান, আব্দুর রহমান সফিক, মুকবুল আহম্মদ রতন ও মুন্সীগঞ্জ জেলা জাসাসের আহবায়ক হাসান জাহাঙ্গীর প্রধান প্রমুখ।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
মন্তব্য করুন