রবিবার
০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে জব্দ জাটকা নিয়ে হট্টগোল, লুটে নিল শত শত মানুষ

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
জাটকা নিয়ে হট্টগোল
expand
জাটকা নিয়ে হট্টগোল

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা মাছ নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনায় শত শত নারী-পুরুষ জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক আলী হাসান।

তিনি জানান, কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী কিংস পরিবহনের একটি বাসে জাটকা পাচারের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ওই বাসটি বরিশাল নগরের সি অ্যান্ড বি রোডে পৌঁছালে ১৬টি কার্টনে ভর্তি বিপুল পরিমাণ জাটকা উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরে জব্দকৃত মাছ বিতরণের জন্য নগরের প্রায় ৩০টি এতিমখানা, মাদ্রাসা ও শিশু সদনে যোগাযোগ করা হয়।

আলী হাসান বলেন, “একটি কার্টনের মাছ ১৫টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণের পর হঠাৎ শত শত নারী-পুরুষ অফিস কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে। তারা মব তৈরি করে বাকি ১৫টি কার্টন ভর্তি জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।”

ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়—নারী, পুরুষ ও শিশুরা ব্যাগ ও পাত্রে করে জাটকা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বরিশাল সি অ্যান্ড বি রোডে যাত্রীবাহী পরিবহন থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং পাচারকৃত জাটকা জব্দ করছেন। শুক্রবার রাতেও একাধিক পরিবহন থেকে জাটকা জব্দের পর সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণের সময় এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী আল আমিন বলেন, “অফিসের গেট বন্ধ ছিল। এতিমখানা ও মাদ্রাসার লোকজন ভেতরে মাছ নিতে এলে গেট খোলা হয়। তখন বাইরে অপেক্ষমান লোকজন হুড়োহুড়ি করে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং মাছ নিয়ে যায়।”

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মামুন বলেন, “যদি বিতরণ কার্যক্রমটি সুশৃঙ্খলভাবে করা হতো, তাহলে এমন বিশৃঙ্খলা ঘটত না। সবাই যার যার মতো করে লুট করে নিয়েছে।”

তবে স্টাফদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, “জব্দ মাছ বিতরণের সময় কিছু লোকজন বিশৃঙ্খলা করেছে এবং কিছু মাছ লুট হয়েছে। তবে অফিস স্টাফরা মাছ সরিয়ে ফেলেছেন, এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন