

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ঐতিহ্যবাহী এই আসনে একাধিকবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের নবীন প্রার্থী কামরুল হুদা। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি। এটি হবে তার প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এই আসনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা-১১ আসনে একবার বিএনপি ও একবার জামায়াতে ইসলামী বিজয়ী হয়েছিল। এরআগে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী একেএম কামরুজ্জামান ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেলেও পরাজিত হন। এরপর থেকে দলটি এ আসনে প্রার্থী না দিয়ে ২০০১ সাল থেকে জোটের শরিক জামায়াতকে আসনটি ছেড়ে দেয়।
২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় প্রতিন্দ্বিদ্বতা করে ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পান, তবে পরাজিত হন। সর্বশেষ সংসদে এ আসনটি আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক মুজিবের দখলে ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চৌদ্দগ্রাম আসনটি এখনো ত্রিদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনাময় এলাকা। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকায় বিএনপি এবার তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও এখানে আওয়ামী লীগের প্রভাব দীর্ঘদিনের, তবে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই ঐতিহাসিক ভোটব্যাংক এখনও অটুট রয়েছে।
মন্তব্য করুন