

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সাতক্ষীরা–৩ (আশাশুনি–কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন ও মনোনয়নবঞ্চিত নেতা ‘গরিবের ডাক্তার’ খ্যাত ডা. মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুই পক্ষের আলাদা কর্মসূচি ঘিরে কালিগঞ্জে টানটান পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিকেলে কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে কাজী আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি গণমিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে কলেজের সামনে সমাবেশ করেন তিনি। একই সময়ে ডা. শহিদুল আলমের সমর্থকরা তাঁর মনোনয়নের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল বের করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, শহিদুলপন্থী মিছিলটি কাজী আলাউদ্দিনের সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায়।
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষের আশঙ্কায় একদল নাশকতাকারী গুলতি, লোহার বল, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অস্ত্র ও লোহার টুকরা নদীতে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। পরে কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মোহাম্মদ সাজিদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চারজনকে লাঠি, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—আশাশুনি থানার বাটরা গ্রামের আলীমুলের ছেলে মামুন, নলতা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের শফিকুল সরকারের ছেলে শামীম, কাশীবাটি গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান এবং পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের মৃধুদ কুমার ঘোষের ছেলে শুভঙ্কর কুমার ঘোষ।
অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে একটি মিনি ট্রাক, তিনটি পিকআপ ভ্যান, লাঠি, ইটপাটকেল, গুলতি, লোহার পাইপ ও ধারালো লোহার টুকরা জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের ও জব্দ করা সামগ্রী পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত সামগ্রী থানায় আনা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সেনাবাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার ফলে একটি সম্ভাব্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়ানো গেছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন