

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সংবাদ প্রকাশের জেরে বরগুনায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন। গত ৩০ অক্টোবর তিনি বরগুনা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন— বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাসেল শিকদার, এশিয়ান টেলিভিশনের ইত্তিজা হাসান মনির, এ ওয়ান টিভির প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন রাজু এবং আরও এক সাংবাদিক।
জানা যায়, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষের পাশের অংশে বসবাস করে আসছিলেন। বিষয়টি জানার পর কয়েকজন সাংবাদিক তথ্য ও ছবি সংগ্রহে অফিসে যান। সেখানে দেখা যায়, অফিসের তৃতীয় তলায় তিনটি কক্ষ তিনি নিজ ব্যবহারের জন্য দখলে রেখেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অফিসেই একসময় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।
অফিসে বসবাসের ছবি ও সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ৩০ অক্টোবর শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চাঁদাবাজির অভিযোগে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ঘটনার পর বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, বরগুনা জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান তাপস এক যৌথ বিবৃতিতে এ মামলাকে হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম রাসেল শিকদার বলেন, আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ অক্টোবর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যাই। জসিম উদ্দিন স্যার নিজেই আমাদের তার থাকার রুম দেখিয়ে বলেন ‘আমার বিরুদ্ধে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেন, যাতে আমাকে বদলি করা হয়।’ এরপর আমরা সংবাদ প্রকাশ করি। কয়েকদিন পর দেখি আমাদের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি ঢাকায় আছি। মামলার বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। সাংবাদিকেরা পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) সঙ্গে কথা বলুন। এরপরই তিনি ফোনটি কেটে দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে বসবাসের অনুমোদন আছে কিনা, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন