

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানার কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ১১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে অ্যাসেম্বলি শেষে ক্লাসে ফেরার কিছুক্ষণ পর তারা বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে বিদ্যালয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন ওই শিক্ষার্থীদের।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, বড় বালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে মিম আক্তার (১১), একই গ্রামের আনোয়ারের মেয়ে লামিয়া (১২), এবং কুমারপুর গ্রামের সূর্য চন্দ্র বর্মন মেয়ে দৃষ্টি রাণী (১১), একই গ্রামের সুমন আলীর মেয়ে মুসকান (১২), ও বড় বালিয়া এলাকার শরিফুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া (১৩) এদের মধ্যে সবাই ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক আনারকলি বেগম জানান, ক্লাস শুরুর আগে কয়েকজন শিক্ষার্থী স্থানীয় দোকান থেকে জলপাই ও চকলেট বিস্কুট কিনে খায়। কিছুক্ষণ পর তাদের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও পেট ব্যথা শুরু হয়। পরে আমরা দ্রুত অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই।
চিকিৎসকরা জানান, খালি পেটে এসব খাবার খাওয়ার কারণেই খাদ্য বিষক্রিয়ায় তাদের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে এবং সবাই বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্ট ও বমির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে সবাই চিকিৎসাধীন ও আশঙ্কামুক্ত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলী বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কোন দোকান থেকে খাবারগুলো কেনা হয়েছিল তা যাচাই করা হচ্ছে।
ঘটনাটি এলাকায় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। হঠাৎ এমন ঘটনার ফলে অভিভাবকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বিদ্যালয় ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন