

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের ছাত্রী হলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পুরুষ সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়ায় ক্যাম্পাসজুড়ে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় এমন সাংগঠনিক সিদ্ধান্তকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে ও ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ছাত্রদলের পেজে একটি সাংগঠনিক নোটিশ প্রকাশ করেন। আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও সদস্য সচিব যীনাত মিয়া আজিজুলের স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে ছাত্র ও ছাত্রী হলের সাংগঠনিক কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে বেশ কয়েকজন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়।
নোটিশে দেখা যায়— ছাত্র হলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হামজা, সদস্য মোহাম্মদ আমানউল্লাহ ও রবিউল ইসলাম রিমনকে। তবে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ছাত্রী হলের কমিটি ঘিরে।
ছাত্রী হলের দায়িত্বে রাখা হয়েছে যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন, সদস্য সাদ ইবনে ওয়াহিদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আদিবা হক মিলাকে। ছাত্রী হলের কমিটিতে দুইজন পুরুষ সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, “ছাত্রী হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ছাত্রদের সম্পৃক্ততা আমাদের জন্য অস্বস্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা হলে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চাই না।”
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এমন সাংগঠনিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ও প্রশাসনের ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নুর হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়— ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, প্রচার বা সংগঠন পরিচালনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, লোগো ও প্রতীক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
মন্তব্য করুন