বৃহস্পতিবার
০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে দাদন ব‌্যবসায়ীর চাপ সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা   ‎

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২১ পিএম
কুড়িগ্রামে দাদন ব‌্যবসায়ীর চাপ সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা   ‎
expand
কুড়িগ্রামে দাদন ব‌্যবসায়ীর চাপ সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা   ‎

‎কুড়িগ্রামের উলিপুরে সুদের টাকা পরিশোধের চাপ সইতে না পেরে রওশনারা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন। ‎ ‎ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার (৫ নভেম্বর) উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের কামাল খামার এলাকায়। রওশনারা ওই এলাকার আব্দুল হাকিমের স্ত্রী। বর্তমানে ওই গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ‎ ‎স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের কামাল খামার এলাকার আজগার আলীর ছেলে সাইফুর রহমানের কাছ থেকে রওশনারা বেগম তিন মাস আগে ১৭ হাজার টাকা ধার নেন। অভাবের কারণে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন রওশনারা। পরে সাইফুর রহমান প্রতি মাসে মাসে উক্ত টাকার লাভের অংশ নিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় গত ২ নভেম্বর রওশনারার একমাত্র ছেলে আব্দুর রহিম (১৯) কে মোবাইল ফোনে ডেকে সাইফুরের বাড়িতে নেন। পরে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে এক লাখ ১৩ হাজার টাকা লি‌খে আব্দুর রহিমের স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন সাইফুর রহমান। পরে এ টাকার জন্য প্রতিদিন চাপ দিতে থাকেন রওশনারাসহ পরিবারের সকলকে।

এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর সাইফুর রহমান রওশনারা ও তার মেয়েকে সহ পরিবারের সকল সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকিসহ মা মেয়েকে বিবাহ করে টাকা পরিশোধ করে নিবেন বলে কু-প্রস্তাব দেন। অপবাদ সহ্য করতে না পেয়ে রওশনারা বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে জমিতে দেওয়া কিটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি গুরুত অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ‎ ‎এ বিষয়ে সাইফুর রহমানের মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, রওশনারা বেগম নামের ওই মহিলার ছেলে আব্দুর রহিম স্বেচ্ছায় আমার কাছে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছে। তাকে কোনো জোর করা হয়নি। সুদের টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। ‎ ‎উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মেহেরুল ইসলাম জানান, রওশনারা বেগম নামে ওই নারীর শরীর থেকে পয়জন জাতীয় পদার্থ বের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন। ‎ ‎উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত নই। এ বিষয়ে ভুক্ত‌ভোগীর প‌রিবার অভিযোগ করলে তাকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।#

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন