

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামালপুরের মাদারগঞ্জের ইসলামাবাদ ওয়াসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ পূর্বে দখল করে এবং পরে ভাড়ায় চলছে স্যানাটারী ব্যবসা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণের পশ্চিম প্রান্তে টিনসেড ঘর সেখানে একটি সাইনবোর্ড রয়েছে মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ নামে। ঘরটির চারপাশ দিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে স্যানেটারী মালামাল, দেখলে মনে হয় যেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী জায়গা স্কুলের মাঠ নয় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কোন তোয়াক্কা না করে কয়েক বছর যাবৎ স্কুল মাঠে স্যানেটারী ব্যবসা চালিয়ে আসছে মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর কবির।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সময় থেকে রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৫শ টাকা ভাড়ায় ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। আলমগীর গুনারীতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য হওয়ার সুবাদে সভাপতির কাছ থেকে বাগিয়ে নেয় স্কুল মাঠের একাংশ। আওয়ামী সরকার পতনের পর বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নজরে আসে স্কুল কর্তৃপক্ষের।
অভিযুক্ত মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বলেন বিগত কমিটি আমাকে ৩ বছরের চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছে। জায়গা ছাড়ার জন্য দুই বার নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমি যদি আবার সময় বাড়িয়ে নিতে পারি তাহলে নেবো।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান মুর্তুজা ও নবির হোসেন জানায় স্কুল মাঠে আমরা খেলতে গিয়ে স্যানেটারী সামগ্রী দিয়ে ব্যাথা পায়,দৌড়ে বল নিতে গিয়ে আঘাত পাই।
এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ ওয়াছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম বলেন বিগত ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন মোতাবেক তাকে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়া হয় মাসিক ১৫ শত টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয় তহবিল বৃদ্ধির জন্য।
যার চুক্তিতে থাকে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে যে কোন সময় উক্ত জায়গায় ছেঁড়ে দিতে বাধ্য থাকিবে। এই প্রেক্ষিতে আমি তাকে নোটিশ প্রদান করি জায়গায় ছেঁড়ে দেওয়ার জন্য। প্রথমে ৩০ সেপ্টেম্বর/২৪ পরবর্তী ২য় ধাপে ২৩ অক্টোবর/২৫ ইং তারিখের মধ্যে আলমগীর কে জায়গা ছাড়ার সময় বেঁধে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ ।
তদবিরের পরিপ্রেক্ষিতে আরো এক মাস সময় দেওয়া হয়। আলমগীর আবারো বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ কাছে গিয়ে সুপারিশ করে কিছুদিন সময় নেয় ।
এডহক কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ ৩য় বারের মতো নোটিশ দেই এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জায়গা ছেড়ে না দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সানোয়ার হোসেন বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ শিক্ষার্থীর জন্যই উন্মুক্ত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করার সুযোগ নাই। যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ এরকম কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সেটা অবশ্যই সঠিক হয়নি। এ ধরনের কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মন্তব্য করুন