বুধবার
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্মাণের কয়েক বছরের মাথায় ভেঙ্গে যাচ্ছে ব্রিজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
expand
নির্মাণের কয়েক বছরের মাথায় ভেঙ্গে যাচ্ছে ব্রিজ

জানা গেছে, মাত্র কয়েক বছর আগেই ৩২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৬০ টাকার সেতু ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে নির্মিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নলবোনা খালের উপর নির্মিত সেতুটির কাজ শুরু করা হয় ২০১৯ সালে।

দূর্যোগ ও ব‍্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে শিবগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পূর্বের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেতু ভেঙ্গে নির্মান করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণের পর থেকেই এতে দেখা দেয় নানা ত্রুটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রীজ নির্মাণের সময় নিম্নমানের ইট, বালু ও রড ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি কাজের সময় তদারকি কর্মকর্তারাও ছিলেন ‘অদৃশ্য’।

বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট স্রোত সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি ব্রীজটির সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। এতে চলাচল বন্ধ হয়েছে কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষের। স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষক পর্যন্ত সবাই পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, ব্রীজটা যদি ঠিকভাবে বানানো হতো, এত তাড়াতাড়ি ভাঙত না। এটা বৃষ্টির দোষ না, এটা দুর্নীতির ফল।

আরেকজন বাসিন্দা রুবিনা বেগম বলেন, আমরা বর্ষা এলেই ভয় পাই। এই ব্রীজ ভাঙার পর এখন আমাদের পার হতে হয় জীবন ঝুঁকি নিয়ে।

জানা গেছে, মের্সাস ঝুমা এন্টারপ্রাইজ প্রোপাইটার হেমন্দ চন্দ্র বর্মন, বি-৩২২ উপশহর রাজশাহী! ঠিকানা ব‍্যাবহার করা হলেও পরবর্তীতে বিক্রি হয়ে শিবগঞ্জের এক ব‍্যক্তি এই লাইসেন্সটি কিনে নেন। তৎকালীন শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম যিনি বতর্মানে নওগাঁ মান্দা উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন।

বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন,ব্রীজটি ৮-৯ বছর আগে নির্মান করা হয় কিন্তু নির্মানের সময় ব্রীজটিতে ব‍্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে এই বেহালদশা তৈরি হয়েছে।

এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজহার আলী জানান, উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি কালভার্ট ভেঙে পড়েছে। এখন আপাতত মাটি ফেলে রিপায়িরিংয়ের কাজ করা হবে। এ ছাড়া, কালভার্টটিতে পানির স্রোতের কারণে ফাটল দেখা গেছে। তাই ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুনরায় কালভার্ট নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বর্তমানে ব্রীজের ভাঙায় অংশে চলাচল বন্ধ কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষের। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত নতুন করে টেকসই ব্রীজ নির্মাণ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। বৃষ্টির পানির তোড়ে নয়, বরং দুর্নীতির স্রোতেই ভেসে গেছে নলবোনা খালের এই ব্রীজএমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন