বুধবার
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় যুবককে আটকে নির্যাতন-মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ১

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
গ্রেপ্তার খন্দকার রিফাত হোসেন (২৮)
expand
গ্রেপ্তার খন্দকার রিফাত হোসেন (২৮)

লিবিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তার নাম খন্দকার রিফাত হোসেন (২৮)।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তাকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এরআগে সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সূত্রাপুর থানার বেগমগঞ্জ লেন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই সূত্র জানায়, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৭ মার্চ লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রিফাত টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার খন্দকার রমজানের ছেলে। লিবিয়াতে তিনি একটি চক্রের হয়ে কাজ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে লিটন হোসেন ওরফে সুমন লিবিয়াতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য তিনি ৭২ হাজার দিনার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৫ লাখ টাকা) জমা করে।

খন্দকার রিফাত ও আরেকজন লিবিয়া প্রবাসীর সাথে লিটনের পরিচয় হয়। লিটনের কাছে দিনার থাকার বিষয়টি জানতে পারে রিফাত। পরে লিবিয়া ও পাকিস্তানি চক্রের সহায়তায় লিটনকে ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি অপহরণ করে রিফাত। সেখানে তাকে আটকে নির্যাতন করে ৭২ হাজার দিনার নিয়ে যায়। তাকে নির্যাতনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও চিত্র তার পরিবারের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় বাংলাদেশী একটি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।

পরে এ ঘটনা নিয়ে গেল বছরের ৭ মার্চ লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করে ভিকটিম লিটনের মামা মো. আনোয়ার হোসেন। মামলায় লিবিয়ায় থাকা রিফাতের শাশুড়ী ঢাকার সুত্রাপুরের বাসিন্দা আনু আক্তার ও তাদের আত্মীয় দিদার হোসেনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশ মামলাটি তদন্ত করে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে অপহরণের ২ মাস ২০ দিন পর অপহরণকারীরা লিটনকে ছেড়ে দেয়।

নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন কার্যালয়ের (পিবিআই) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার মূলহোতা খন্দকার রিফাত গত ১৩ মে বাংলাদেশে আসে পলাতক থাকে। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করা হয়। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। পরে তাকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, রিফাত মাফিয়া চক্রের বাংলাদেশী মূলহোতা। একটি কপিশপে চাকরি করায় ওই চক্রের সঙ্গে সখ্যতা হয়। এরপর থেকে তিনি বাঙ্গালিদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করতো।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন