

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নতুন পাসপোর্টের জন্য এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর রোহিঙ্গা আতঙ্কে রয়েছেন চাঁদপুরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন আমাদেরকে এখন সর্বোচ্চ সতর্ক নিয়ে কাজ করতে হয়।
এমন কঠোরতার মধ্যেও মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ভুয়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে এক কর্মকর্তার হাতে ধরা পড়েছেন দুই রোহিঙ্গা নারী।
পরে তাদেরকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক রোহিঙ্গা নারীরা হলেন-কক্সবাজার কুতুপালংয়ের ২ নম্বর ক্যাম্পের ই-১১ ব্লকের বাসিন্দা সহিসু আলমের মেয়ে সুবাইরা (১৮) ও সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম (৩৫)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৫ টায় দুই নারীকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা থেকে তাদের ক্যাম্পে পৌঁছানোর জন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্স দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, ওই দুই নারীর সাথে আমি কথা বলেছি। তবে তাদের ভাষা বুঝা যায় না। যতটুকু জানতে পেরেছি তাদের ক্যাম্প এলাকার যুবক দালাল সোহাগের মাধ্যমে তারা চাঁদপুরে পাসপোর্ট করার জন্য আসেন। কিন্তু তারা চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঠিকানায় ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করায় ধরা পড়েন।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দুই নারী পাসপোর্ট করার জন্য পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করেন। এর মধ্যে সুবাইরা পাসপোর্টের জন্য ব্যাংকড্রাফট, আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে আসেন। ভোটার আইডির ভেরিপাইড ও ফটোকপি একই সাথে সংযুক্ত করেন। যদিও ওই এনআইডি শাহরাস্তি উপজেলা রুমা আক্তারের। তারা এসব জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন কর্মকর্তাদের কাছে।
পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দুই নারী বলেন, তাদেরকে সৌদি আরবে নিবেন বলে একলোক যোগাযোগ করে। সেই লোকের মাধ্যমেই পাসপোর্ট করার জন্য এসব কাগজপত্র যোগাড় করেন। তারা দাবী করেন ওই লোককে তারা চিনেন না।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উত্তম সাহা বলেন, আসলে আবেদনের মাধ্যমে এ ধরণের রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে কষ্টকর হয়ে পড়ে। যদিও চেহারা ও ভাষার মাধ্যমে অনুমান করে আমরা পাসপোর্ট গ্রহীতাদের প্রশ্ন করি। এমন প্রশ্নের মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এসবি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ হওয়ায় আমরা আরো সাবধান হয়েছি। তারপরেও আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। কারণ ফাঁক ফোঁকর দিয়ে রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি এক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, যেহেতু আটক দুই নারী বৈধভাবে ওই ক্যাম্পে থাকেন। যে কারণে তাদেরকে আজ ভোরে থানার কর্মকর্তা ও ফোর্সসহ ওই ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে সেখানে পৌঁছানোর পর ক্যাম্প প্রধান তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মন্তব্য করুন