

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঠাকুরগাঁও রোড রেলওয়ে স্টেশন থেকে পার্বতীপুরগামী কাঞ্চন আন্তঃকমিউটার ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পর ৬ কিলোমিটার দূরে শিবগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাকে নিতে আবারও ট্রেনটি ফিরে আসে ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশনে।
তবে ট্রেন ফিরিয়ে আনার পরও সেই কর্মকর্তা ট্রেনে না উঠে অন্য ট্রেনে যাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রেনে থাকা যাত্রীরা।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও রোড রেলওয়ে স্টেশনে।
জানা গেছে, ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তা হলেন লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা আলম।
যাত্রীরা জানান, বিকেল ৪টা ২৬ মিনিটে ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশন থেকে পার্বতীপুরগামী কাঞ্চন আন্তঃকমিউটার ট্রেনটি ছেড়ে যায়। প্রায় ৫ কিলোমিটার যাওয়ার পর হঠাৎ ট্রেনটি বিপরীত দিকে চলতে শুরু করে। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি আবার ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশনে ফিরে এলে জানা যায়, বিভাগীয় কর্মকর্তাকে তুলতেই ট্রেনটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতার চাপে ওই কর্মকর্তা ট্রেনে উঠতে বাধ্য হন।
ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা আলম ঠাকুরগাঁও স্টেশন পরিদর্শনে আসেন। পরে তিনি দিনাজপুরে যাওয়ার কথা জানান। লালমনিরহাট অফিসের নির্দেশে ট্রেনটি ফিরিয়ে আনা হয়। তবে লোকাল ট্রেন হওয়ায় সেটিতে তিনি যাত্রা করতে চাননি। পরবর্তীতে তিনি অন্য ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।”
এ বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগের রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, “পরিদর্শনের সময় অসুস্থ বোধ করলে ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশনে বিশ্রাম নিই এবং কন্ট্রোল রুমকে জানাই যে আমি কাঞ্চন আন্তঃকমিউটার ট্রেনে দিনাজপুর ফিরব। ট্রেনের শব্দ শুনে কন্ট্রোলে যোগাযোগ করি, কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন অনেক দূর চলে গিয়েছিল। পরে কন্ট্রোল আমাকে না জানিয়ে ট্রেনটি ফিরিয়ে আনে।”
মন্তব্য করুন