

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া আসনে বিএনপি থেকে সাংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন এম আকবর আলী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এরমধ্যে উল্লাপাড়া থেকে এম আকবর আলীর নাম রয়েছে।
এম আকবর আলী উল্লাপাড়ায় শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যপক ভূমিকা রেখেছেন, উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ, মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল, উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ এবং বড়হর স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বিএনপির ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে এম আকবর আলীর ব্যক্তিগত ভোটব্যাংক রয়েছে। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিপুল ভোটে বিএনপি থেকে এম আকবর আলী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে বিএনপি দলীয় কোন্দল থাকার কারণে সেসময় জাতীয় নির্বাচনে এম আকবর আলীর ভরাডুবি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন এই আসনে বিএনপির দলীয় কোন্দল (গ্রুপিং) সমাধান না হলে ২০০৮ এর মতো পরিণতি হতে পারে। তাই সবাই কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় সিন্ধান্তের বাইরে না গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব বলেন দলীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি, দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার সাথে কাজ করতে হবে। দলীয় গ্রুপিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন আশাকরি সবাই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী কে বিজয়ী করতে কাজ করে যাবেন।
অন্যদিকে এই আসনে অনেক আগেই মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন। তিনি সর্বশেষ ২০১৮ সালে বিএনপি জোট থেকে মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। এই এলাকায় তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে সর্বশেষ অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ২০০৮ সালের (২৯ ডিসেম্বর ২০০৮) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের ফলাফল (প্রধান প্রত্যাশিত প্রার্থীদের ভোট):মোঃ শফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০৩ ভোট যা সে সময় মোট ভোটারের ৫৭% ভোট পেয়ে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ৯৭ হাজার ৪৬৩ ভোট যা মোট ভোটের ৩৪.২% এবং বিএনপি থেকে এম আকবর আলী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট পায় ২৪ হাজার ৪৬০ ভোট যা মোট ভোটারের ৮.৬ শতাংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে উল্লাপাড়ায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে। আওয়ামী লীগের বিশাল একটি ভোটব্যাংক রয়েছে, এই ভোট যাদের পক্ষে যাবে তারা খুব সহজেই বিজয়ী হতে পারবে।
মন্তব্য করুন