

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার অতিথপুর গ্রামে। গ্রামের এক কোণে, ভাঙা একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করছেন শাহানা খাতুন (৪৫) ও তাঁর ছেলে কাজল মিয়া (২২)। মা-ছেলে দুজনই আক্রান্ত এক বিরল ও ভয়াবহ টিউমারে, যা ধীরে ধীরে কেড়ে নিচ্ছে তাদের মুখের হাসি এবং বেঁচে থাকার আশা।
জন্মের সময় কাজলের মুখে ছিল ছোট একটি টিউমার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি বেড়ে এখন পুরো মুখ এবং এক চোখ ঢেকে দিয়েছে। খাওয়া, কথা বলা এবং দেখা—সবই এখন তার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাজল মিয়া জানান, “এক সময় কপালের পাশে ছোট একটি টিউমার ছিল। এখন মুখটাই বিকৃত হয়ে গেছে। এক চোখে দেখি না, খেতেও কষ্ট হয়… মানুষ এখন আর কাছে আসে না।”
শুধু কাজলই নয়, তার মা শাহানা খাতুনও একই রোগে ভুগছেন। গালের টিউমার ঝুলে নেমে এসেছে বুক পর্যন্ত এবং শরীরজুড়ে ছড়িয়ে গেছে অসংখ্য গুটি। এই মা-ছেলেকে নিয়ে দিশেহারা দিনমজুর বাবা মিরাজ আলী বলেন, “দুইজনেই অসুস্থ। আমি গরিব মানুষ, কেমন করে চিকিৎসা করব বুঝি না। মানুষের কাছে যা পাই তাই খাই।”
প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা তারা পাননি। এক প্রতিবেশী বলেন, “ওদের অবস্থা খুব খারাপ। সরকারি সাহায্য পেলে হয়তো চিকিৎসা সম্ভব হতো।”
আজ এই মা-ছেলের একটাই চাওয়া—চিকিৎসা এবং সহানুভূতি। যাতে তারা আবারও ফিরে পেতে পারেন একটু স্বাভাবিক জীবন। তাদের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার প্রকৃত পরিচয়।
মন্তব্য করুন