

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন ইশরাত জাহান সাথী (৩২)। পাশে ছিল না কেউ।
অবশেষে ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সেই ভুক্তভোগী নারীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
গতকাল রোববার (০২ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল থেকে আগুনে দগ্ধ নারীকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাত ৮টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্দেশে রওনা হয়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানা শাখার আমির হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, গণমাধ্যমে আমরা সংবাদ দেখি যে এই নারী চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। সেটা দেখেই আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সংগঠনের সহযোগিতায় অগ্নিদগ্ধ নারীর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এবং তার চিকিৎসার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত সহযোগিতা করবো এবং সুস্থ হওয়ার পর পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করে দেব।
এ সময় জেলা আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, উপজেলা আমির মিজানুর রহমান এবং জামায়াতের অন্যান্য নেতাকর্মীরা তার শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, মাদকসেবী স্বামীর মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় দুজনের মধ্যে কলহ শুরু হলে এক পর্যায়ে সাথীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় স্বামী রুবেল (৩৫)।
স্বামীর দেওয়া আগুনে গুরুতর দগ্ধ শরীর নিয়ে বাঁচার আকুতি নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে গত ১ মাস যাবৎ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছিলেন গৃহবধূ ইশরাত জাহান সাথী (৩২)।
ভয়াবহ আগুনে ভুক্তভোগী এই নারীর শরীর পুড়লেও এগিয়ে আসেনি কেউ। পরবর্তীতে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে সাথীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন