

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাত পৌনে ২টার দিকে কারখানাটির উৎপাদন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
সার কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (বাণিজ্য) আতিকুর রহমান খান জানান, কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে কারখানায় বর্তমানে প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বস্তাবন্দী ও খোলা অবস্থায় মজুদ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “গত অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্য ছিল ৮ লাখ মেট্রিক টন, কিন্তু আমরা উৎপাদন করেছি ৮ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। এ কারখানার বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ১০ লাখ মেট্রিক টন।”
সার কারখানার একটি সূত্র জানায়, উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ২ হাজার ৮শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ থাকছে। এতে ধান ও শাকসবজির ভরা মৌসুমে সার সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকসহ সচেতন মহল।
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি) সরফরাজ খান বলেন, “উৎপাদন বন্ধের কারণ অনুসন্ধানে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ও করণীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।”
এদিকে জিএম (প্রশাসন) মোঃ ফখরুল আলম জানান, “দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে আমরা কাজ করেছি। হঠাৎ সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ করা হলেও স্টার্টআপ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আশা করা যায় দ্রুতই উৎপাদন স্বাভাবিক হবে।”
প্রসঙ্গত, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এশিয়ার বৃহত্তম এই সার কারখানাটি ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই এটি দেশের কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
নরসিংদীর কৃষকরা আশাবাদী, দ্রুত ত্রুটি মেরামতের মাধ্যমে পুনরায় উৎপাদন শুরু হলে সার সরবরাহে বড় কোনো সংকট হবে না।
মন্তব্য করুন