

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে বহিরাগত ছেলেরা স্কুলের ভিতরে ঢুকে প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সামনে এক ছাত্রকে তুলে নেওয়া যাওয়ার হুমকেসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করাই ৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ স্কুল প্রাঙ্গণ।
স্কুল ছাত্রীকে বিরক্তি করার জেরে একই স্কুলের ছাত্র সূর্য ও সীমান্তের মধ্যে কয়েক দিন ধরে বাকবিতন্ডা চলছিলো।
রবিবার( ২ নভেম্বর)সকাল ১১ টার সময় সীমান্ত বহিরাগত ৫ থেকে ৬ জন ছেলেকে নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে সূর্যের সাথে ধস্তাধস্তি করার এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক এর সামনে জোরপূর্বক তুলে নেওয়া যাওয়ার জন্য জবরদস্তি করে।
এতে শিক্ষকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের উপরেও চড়াও হয় সীমান্তরা। এক পর্যায়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে সীমান্তসহ তার সাথে আসা সবাইকে স্কুলের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রায় ৬ ঘন্টা। ঘটনা স্থল সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম মোবাইলে অবহিত করলে থানা পুলিশ, বিজিবি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শামীম হোসেন ছুটে আসেন।
মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মিঠন বলেন, হেডমাস্টারকে থ্রেট করছে যে আপনার ছাত্রকে তুলে নিয়ে চলে যাবো, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক।
পিয়ারুল ইসলাম বলেন, বড়গাছি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এক মেয়েকে কেন্দ্র করে শিবগঞ্জের ছেলে পেলেরা মারামারি করতে এসেছে, এখানে অনেক লোকজন আছে।
বড়গাছি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলামকে পরপর দুইবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে যান।
দুপুরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম হোসেন মুঠোফোনে জানান, ডিসি এর সাথে কথা হয়েছে আশা করি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। মূলত এটা ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতি হয়েছে।
সন্ধ্যার পরে আবারও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ঘটনার বিষয় জানতে যাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা গিয়ে উভয় পক্ষের কথা শুনি, বয়স আঠারো বছরের নীচে হওয়ার জন্য আমরা তাদের অঙ্গীকারনামা নিয়েছি যে, তারা কখনও এমন কাজ করবে না ও সবাই ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে। এরপর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন