

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দুধের দাম না বাড়ায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার প্রায় ৬ শতাধিক খামারি আজ রোববার (২ নভেম্বর) থেকে লাহিড়ী মোহনপুর দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে দুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) আওতাধীন এ শীতলীকরণ কেন্দ্রে উপজেলার ৩৫টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রতিদিন ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার লিটার দুধ সরবরাহ করে আসছিলেন খামারিরা। বর্তমানে প্রতি লিটার দুধ ফ্যাট ভেদে ৫০ থেকে ৫১ টাকায় ক্রয় করা হয়। তবে খামারিরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতি লিটারে অন্তত ১০ টাকা মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন।
কয়রা খামারপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক আলী হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান বাজারে গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে খামারিরা দুধ বিক্রি করে লোকসান গুনছেন। তাই আমরা দীর্ঘদিন ধরে দুধের দাম বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে আসছি, কিন্তু কোনো ফল মিলছে না।
সড়াতলা প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ সেলিম উদ্দিন বলেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাদের অক্টোবর মাসের মধ্যে দুধের দাম কিছুটা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় আমরা ৩৫টি সমবায় সমিতি একযোগে ২ নভেম্বর থেকে দুধ সরবরাহ বন্ধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, লোকসান দিয়ে মিল্ক ভিটায় দুধ সরবরাহ করার চেয়ে আমরা প্রয়োজনে স্থানীয় হাট-বাজারে দুধ বিক্রি করব।
একই দাবি জানান বাল্যপাড়া সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক মোঃ শাহীন এবং এলংজানি সমবায় সমিতির সভাপতি আল আমিন হোসেনসহ বেশ কয়েকটি সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে লাহিড়ী মোহনপুর দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কেন্দ্রটি মিল্ক ভিটার আওতাধীন একটি ক্রয় কেন্দ্র। স্থানীয় খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে আমরা ঢাকার তেজগাঁওয়ের মিল্ক ভিটার প্রধান কার্যালয়ে পাঠাই। খামারিরা দুধ সরবরাহ বন্ধ করায় আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় খামারিদের দুধের মূল্য বৃদ্ধির দাবি তিনি মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এখন বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন