

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মূল দায়িত্ব হলো রেশম চাষ ও রেশম শিল্পের গবেষণা, প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন।
এছাড়া কাঁচা রেশম ও রেশমজাত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে রেশম চাষিদের কল্যাণেও কাজ করে সরকারি এই সংস্থাটি।
তবে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত রেশম উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রেশম চাষের পরিবর্তে বোর্ডের জমিতে এখন চাষ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজি।
রেশম উন্নয়ন বোর্ড নার্সারির সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, “বিগত কয়েক অর্থবছরে রেশম চাষে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। ২০২০–২১ অর্থবছরে ১২ বিঘা জমিতে রেশম চাষ হয়েছিল।
২০২১–২২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ বিঘায়। ২০২২–২৩ অর্থবছরে তা কমে ১৭ বিঘায় নেমে আসে এবং ২০২৩–২৪ অর্থবছরে কমে দাঁড়ায় মাত্র ৬ বিঘায়। চলতি অর্থবছরে (২০২৪–২৫) মাত্র ৩ বিঘা জমিতে রেশম চাষ করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, জনবল সংকটের কারণেও কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যেখানে রেশম গাছ রোপণের কথা, সেখানে এখন চাষ হচ্ছে পুঁই, লালশাক, ডাঁটা শাকসহ নানা ধরনের সবজি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডের কিছু জমি লিজ নিয়ে সাধারণ মানুষ এসব চাষাবাদ করছেন। কর্মকর্তাদের দাবি, লিজ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
এদিকে সরকারি সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও রেশম উন্নয়ন বোর্ডের জমির একাংশ দখল করে পার্শ্ববর্তী ‘তুসুকা’ নামের একটি কারখানা ড্রেনেজ লাইন নির্মাণ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, “আমি যোগদানের আগেই কারখানাটি রেশম বোর্ডের ভেতর দিয়ে ড্রেনেজ লাইনটি নির্মাণ করে নেয়।”
রেশম চাষের এই ধারাবাহিক পতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, সরকারি সংস্থার অবহেলা ও পর্যাপ্ত তদারকির অভাবে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন