

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঠাকুরগাঁওয়ে অসময়ের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা তিনদিনের বৃষ্টির ফলে আমন ধান, আলু ক্ষেত, সবজির জমিসহ বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে। এতে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত থেকে জেলায় টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হয়। ক্রমেই তা ভারি বৃষ্টিতে রূপান্তরিত হতে থাকে। জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৪৬ মিলিমিটার।
শনিবার (১ নভেম্বর) জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ৪৮ ঘণ্টার এই বৃষ্টিপাতে আলুর খেত, ধানের খেত ও সবজির খেতে পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও মাঠের পাকা ধান হেলে পড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় কৃষক আগাম জাতের আমন ধান কেটে শুকানোর জন্য রাখা জমিতেও পানি জমে যাওয়ায় কর্তিত ধান শুকানোর পরিবর্তে ভিজে একাকার হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ফসলি জমিতে পানি জমেছে রোপা আমন জমিতে ৭৯৮ হেক্টর, আলু জমিতে ১০৯ হেক্টর এবং শাকসবজিসহ অন্যান্য জমিতে ৮০ হেক্টর। চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯০ হেক্টরে আমনের আবাদ করা হয়েছে।
জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এমন ঘটনা বেশি। ওই এলাকার কৃষকেরা এনপিবিকে বলেন, আগাম ধান তুলে একই জমিতে পেঁয়াজের চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অনেকে জমিতে আলু রোপণের জন্য জমি চাষাবাদ করে সুদিনের অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের আলু ও সবজি রোপণ পিছিয়ে গেছে এবং ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
জেলা ও উপজেলার কৃষকেরা জানান, ‘জমির ধান ইতোমধ্যে পেকে গেছে। দু’দিন আগেও ধান কেটে শুকানোর জন্য মাঠে রেখেছিলাম আমরা। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে আমন খেতে কর্তিত ধান এখন পানিতে ভিজে নষ্ট হতে বসেছে। আর এই বৃষ্টিতে ধান ভিজে যাওয়ায় ধান কাটা পিছিয়ে গেল।’
বালিয়াডাঙ্গীসহ অনেক এলাকার কৃষকদের মধ্যে যারা আগাম আলু রোপণ করেছিলেন, তাদের আলুর খেতে পানি জমে আলু নষ্ট হওয়ার পথে। এ অবস্থায় কৃষকেরা জানান, গত বছর আলু চাষ করে আমরা অনেক লোকসানে পড়েছি। এবারও অনেক কৃষক বেশি দামে সার সংগ্রহ করে এক সপ্তাহ পূর্বে আলু রোপণ করেছেন। কিন্তু আলুর খেতে এখন পানি জমে আছে। এ কারণে আলু বীজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান কৃষকেরা।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজেদুল ইসলাম জানান, এখনো পর্যন্ত ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি তবে কাজ চলছে। কৃষকদের আমরা পরামর্শ দিচ্ছি, যেসব ধান নুইয়ে পড়েছে, সেগুলো গোছা করে বেঁধে দিতে এতে কিছুটা হলেও ক্ষতি কম হবে।
মন্তব্য করুন