

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি মাদরাসায় নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে দিনভর অপেক্ষা করে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে যান পরীক্ষার্থীরা। উপস্থিত থাকলেও নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ নভেম্বর) উপজেলার তবকপুর আবুবকর ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদরাসার শুন্য পদে ইবতেদায়ী প্রধান এক জন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর এক জন, গবেষণাগার-ল্যাব সহকারী এক জন ও আয়া পদে এক জন নিয়োগের জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৪টি পদের বিপরীতে ৫৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে মোতাবেক প্রার্থীদের শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় মাদরাসায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে অ্যাডমিট কার্ড প্রদান করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসার অধ্যক্ষ ফকরুল ইসলাম ৪টি পদে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ পেলে পরীক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। বিষয়টি জানার পর অধ্যক্ষ নিজে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দেন।
সরাসরি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তবকপুর আবুবকর ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার সব কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। আশপাশে কিছু পরীক্ষার্থী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অপেক্ষা করছেন। আয়া পদে পরীক্ষা দিতে আসা ছকিনা নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, “গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে অফিসের পিয়ন আমার বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দিয়েছিলেন। আজ (শনিবার) পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এসে দেখি সব দরজা তালাবদ্ধ, সংশ্লিষ্ট কেউ নেই। অনেক পরীক্ষার্থী কাউকে না পেয়ে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। যদি পরীক্ষা না নেওয়া হয়, তাহলে আমাদের ডাকার কি দরকার ছিল।”
এমনই অভিযোগ করেন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে পরীক্ষা দিতে আসা রমজানুল ইসলাম ও শামিম মিয়া। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাদরাসা চত্বরে অবস্থান করেও নিয়োগ কর্মকর্তারা না আসায় পরীক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে ফিরে যান।
নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও মাদরাসার অধ্যক্ষ ফকরুল ইসলাম নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “নিরাপত্তার কারণে মূলত পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।” মাদরাসার নোটিশ বোর্ডে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি।
তবকপুর আবুবকর ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার সভাপতি মাওলানা মেনহাজুল ইসলাম বলেন, “অধ্যক্ষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে।”
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক ও নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি সামিউল ইসলাম প্রমাণিক বলেন, “অধ্যক্ষ আমাকে ফোনে জানিয়েছিলেন যে তিনি অসুস্থ। তাই পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি, এজন্য আমি সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনি।”
মন্তব্য করুন