

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ময়মনসিংহের ভালুকায় শিল্পবর্জ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির ক্ষতিপূরণ (উপজেলা থেকে সুপারিশকৃত) কারখানা মালিকদের দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের ভরাডোবা এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল (পাকিস্তানি মিল) এর সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কৃষকরা বৃষ্টির মধ্যে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মানববন্ধন করেন।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী বক্তব্যে বলেছেন, ভরাডোবা ইউনিয়নের এলাকায় এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল মিল, হ্যারি ফ্যাশনের কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙের পানি ও মুলতাজিম স্পিনিং মিল লিমিটেডের গরুর খামারের গোবর ও অন্যান্য বর্জ্যের কারণে ভরাডোবা, পুরুড়া, রাংচাপড়া ও ভাটগাঁও মৌজায় কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির ক্ষতিপূরণ (উপজেলা থেকে সুপারিশকৃত) কারখানা মালিকদের দ্রুত পরিশোধ করতে হবে বলে কৃষকদের দাবি।
এদিকে জানা যায়, ভরাডোবা এলাকায় একাধিক কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি এলাকার কৃষকের শত শত একর জমির ফসল নষ্ট করছে। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনা হয়।
আরও জানা যায়, কারখানার কেমিক্যাল বর্জ্যে গত ১৫ বছরে ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নে চারটি কৃষি ব্লকের ৩৩৫.৭৪ ফসলি জমির প্রায় ৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চারটি গণশুনানিতে বিষয়টি উঠে আসে।
চলতি বছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। কমিটির মাধ্যমে উপজেলার পরিষদ সভাকক্ষে গত ৯ জুলাই, ১৩ আগস্ট, ২৭ আগস্ট এবং ১০ সেপ্টেম্বর চার দফায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গণশুনানিতে মোট ৩৩৫.৭৪ একর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৩ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। পরে তদন্ত কমিটির দেওয়া সুপারিশে কৃষকের মোট আর্থিক ক্ষতির ৭৫ শতাংশ টাকা এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল লিমিটেড এবং ২৫ শতাংশ টাকা মুলতাজিম স্পিনিং লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে বহন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে গত অক্টোবর মাসের মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কারখানার কর্তৃপক্ষ যদি প্রশাসন ও কৃষকদের সাথে পর্যালোচনা করে তা সমাধান না করলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে এবং তার দায়ভার কারখানার কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের বহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন মানববন্ধনে কৃষকরা।
মন্তব্য করুন