

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইউনিয়ন কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে সুদসহ টাকা ফেরত চাইলেন শ্রমিক দলের এক কর্মী। এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ এবং নানা ধরনের ফেইসবুক স্টাটাস গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে, বইছে নিন্দার ঝড়।
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে। উপজেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠন শ্রমিক দলের ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক বদরুল জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন পদে পদ দেয়ার আশ্বাসে নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁদের কমিটিতে রাখা হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ দলটির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের শ্রমিক দলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী আমিনুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে বদরুল জামান জুয়েলের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই অডিওতে বদরুল জামান জুয়েলকে বলতে শোনা যায়, “আমি তো পারি নাই, এখন কী করব, আপনার জিনিস (টাকা) রাইখা লাভ আছে? উত্তরে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার টাকা দুই বছর কেন রাখছেন? আপনি এখন কত টাকা ফেরত দিছেন? বদরুল জামান জুয়েল জবাব দেন, আমি ১০ হাজার টাকা দিছি।
এরপর আমিনুল বলেন, চালিতাবুনিয়া থেকে যে টাকা দিছি, সে টাকা কই? সে টাকাও সুদাসলে ফেরত দিতে হবে। উত্তরে বদরুল জামান বলেন, সে টাকাও কি চান? সুদাসলে কত টাকা চান, আমাকে বলেন আমি দিয়ে দেব। হিসাব করে আমাকে জানান, আমি দিয়ে দেব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক বদরুল জামান জুয়েল ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদ দেওয়ার কথা বলে একাধিক নেতা-কর্মীর কাছ থেকে টাকা নেন। পরে ঘোষিত কমিটিতে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা ‘সুদসহ’ টাকা ফেরত দাবি করেন। আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বানানোর কথা বলে বদিরুজ্জামান তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এছাড়া চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বানানোর আশ্বাসে আরও দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন। পরে কমিটিতে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পদবঞ্চিত যুবদল কর্মী মাসুদ হাওলাদার অভিযোগ করেন, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক বানানোর প্রতিশ্রুতিতে বদিরুজ্জামান তাঁর কাছ থেকে ৪৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। পরে অযোগ্য ব্যক্তিকে ওই পদে বসানো হয়। অভিযোগকারীরা জানান, নতুন কমিটি ঘোষণার পর তাঁরা বদরুল জামান জুয়েলকে ফোন দিলে তিনি অপারগতার কথা জানান। পরে যুবদলের এক নেতার মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. বদরুল জামান জুয়েল বলেন, জেলায় অনুষ্ঠিত দলীয় কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে যেতে লঞ্চ ভাড়া বাবদ তাঁদের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল। এখন বিষয়টিকে অন্যভাবে উপস্থাপন করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন