

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে স্থানীয় জেলেদের জালে। এফবি সাফওয়ান-৩ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে ধরা পড়ে প্রায় ১৭০ মণ ইলিশ, যা স্থানীয়ভাবে বড় একটি সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ আড়তে মাছগুলো তোলা হয়। নিলামের মাধ্যমে ইলিশগুলো বিক্রি হয় প্রায় ৪০ লাখ টাকায়। ট্রলারে জায়গা না থাকায় কিছু মাছ স্থানান্তর করা হয় আরেক ট্রলার সাইফ-২ তে।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, পাথরঘাটার সাইফ কোম্পানির ট্রলার এফবি সাফওয়ান-৩ গত ২৯ অক্টোবর সকালে ১৯ জন জেলে নিয়ে গভীর সাগরে যায়। সেদিন বিকেলে কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে জাল ফেলেই রাতে বিপুল ইলিশ ধরা পড়ে।
ট্রলারের মাঝি রুবেল হোসেন জানান, আমরা ২৯ অক্টোবর সকালে সাগরে নামি। বিকেলে ইলিশ ধরার জাল ফেলি, রাত আটটার দিকে দেখি জালে অসংখ্য মাছ। রাত থেকে পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা কাজ করে সব মাছ তুলি।
সাইফ ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সাগরে আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। এবার নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরা শুরু করতেই বড় সাফল্য এসেছে। যদি অবৈধ ট্রলিং সম্পূর্ণ বন্ধ হয়, জেলেরা আরও ভালো ফল পাবে।
আড়তদার মোস্তফা আলম জানান, তার আড়তে বিভিন্ন মাপের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার থেকে ২৭ হাজার টাকা মণদরে। সব মিলিয়ে বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেদের এমন সফলতা সত্যিই আনন্দের। অনেক দিন পর এক ট্রলারে এত পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই জেলেদের জালে প্রচুর মাছ উঠছে। যদি সবাই নিয়ম মেনে মাছ ধরেন এবং অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ করেন, তাহলে তাদের জীবনে আবারও সুদিন ফিরবে।
মন্তব্য করুন
