শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সিগঞ্জে ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
expand
মুন্সিগঞ্জে ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুন্সিগঞ্জে দৌড়প্রেমী ও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের পদচারণায় মুখর ছিল শুক্রবারের সকাল। শহরে অনুষ্ঠিত হলো ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে প্রবীণরাও অংশ নেন এই এই প্রতিযোগিতায়।

মুন্সিগঞ্জ রানার গ্রুপের উদ্যোগে হয় এই আয়োজন। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় প্রতিযোগিতা। মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট থেকে শুরু হয়ে দৌড় চলে যোগিনীঘাট, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, চরকিশোরগঞ্জ হয়ে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।

১০ কিলোমিটারের পাশাপাশি হয় ৫ কিলোমিটার প্রতিযোগিতা। সুপারমার্কেট থেকে শুরু হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে ইউটার্ন নিয়ে পুনরায় সুপারমার্কেট এসে শেষ।

দৌড়ের রুটটি ছিল মোটামুটি সমতল ও গ্রামীণ পরিবেশে ঘেরা, যা প্রতিযোগীদের দিয়েছে এক আলাদা অভিজ্ঞতা।

আয়োজনে অংশ নেন প্রায় ৪ শতাধিক প্রতিযোগী। দুইটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত ছিল এ প্রতিযোগিতা। সাড়ে সাত কিলোমিটার এবং ৫ কিলোমিটার। এতে স্থানীয় শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, গৃহিণী ও অ্যাথলেটরা অংশ নেন।

আয়োজনে ছিল মেডিকেল টিম, পানীয় জল সরবরাহ, স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা ও পুলিশের নিরাপত্তা। বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল হাইড্রেশনের ব্যবস্থা।

এই দৌড়ে অংশ নেয় দেশ সেরা রানার দেবাশীষ ঘোষ , দেশের আইরন ম্যান খ্যাত ডা. সাকলাইন রাসেল সহ অসংখ্য দৌড়বিদ।

মুন্সিগঞ্জ রানার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন দেওয়ান মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “ম্যারাথন কেবল একটি দৌড় নয়, এটি মানুষের ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এখানে জয়ের চেয়ে বড় বিষয় হলো অংশগ্রহণ—কারণ প্রতিটি পদক্ষেপই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এক নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে দেখাতে চাই, মুন্সিগঞ্জের মানুষও স্বাস্থ্যসচেতন, উদ্যমী এবং একতাবদ্ধ। সকালে একসঙ্গে দৌড়ানো শুধু শরীরচর্চা নয়, এটি সমাজে একধরনের সংযোগ তৈরি করে। মানুষ যখন একসাথে মাঠে নামে, তখন পরস্পরের প্রতি অনুপ্রেরণা, ইতিবাচকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জন্ম নেয়—এটাই আমাদের আয়োজনের আসল সাফল্য।”

গ্রুপের এডমিন আহাদুল ইসলাম বলেন, “আমরা তরুণ প্রজন্মকে শৃঙ্খলা, সময়নিষ্ঠা ও মানসিক দৃঢ়তার দিকেও অনুপ্রাণিত করতে চাই। দৌড়ানোর অভ্যাস একজন মানুষকে শুধু সুস্থ রাখে না, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ম ও স্থিরতা আনে। আমাদের লক্ষ্য হলো দৌড়কে একটি স্বাস্থ্যকর সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়া, যেন সবাই বুঝতে পারে—সুস্থ থাকা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং এটি নিজের এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ব।”

এই প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করে বিডি ক্লিন মুন্সিগঞ্জ, রেড ক্রিসেন্ট মুন্সিগঞ্জ, বিএনসিসি ও জেলা পুলিশ মুন্সিগঞ্জ।

গত ১৯ অক্টোবর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় এই দৌড় প্রতিযোগিতার সব মেডেল। যার কারণে অনুষ্ঠানে কোনো প্রতিযোগীকেই দেয়া হয়নি মেডেল। নতুন করে মেডেল তৈরির অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজক কর্তৃপক্ষ। আগামী এক মাসের মধ্যেই নির্ধারিত দূরত্ব অতিক্রম করা প্রতিটি প্রতিযোগীর মেডেল পৌঁছে দেওয়া হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন