

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে প্রায় ৩০ মিটার বাঁধসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙনের হঠাৎ তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভাঙনকবলিত স্থান থেকে মাত্র ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপিডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে ফরিদপুরগামী গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক, শত শত বসতবাড়ি এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে যেকোনো মুহূর্তে এসব স্থাপনা নদীতে তলিয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় নদীপাড়ের বাসিন্দা শেখ আবজাল জানান, বুধবার সকাল থেকেই পদ্মা যেন পাগল হয়ে উঠছে। গড়গড় শব্দে মাটি ধসে পড়ছে। এক রাতের মধ্যে তিরিশ মিটার বাঁধ নদীতে গিলে ফেলেছে। আমাদের জমি, বাড়ি, স্কুল, সব এখন নদীর মুখে ঝুলে আছে। কোনদিকে যাই, বুঝতে পারছি না।
ভাঙনের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছিল। আমরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এছাড়া, চরভদ্রাসনের বিভিন্ন পয়েন্টে ৩.১৫ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা খাতুন জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙনকবলিত স্থানে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ক্ষয়রোধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পদ্মার ভাঙন ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বর্ষা মৌসুম শেষে নদীর স্রোত কমলেও এবার হঠাৎ পানি বাড়ায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে জনজীবনে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
মন্তব্য করুন