

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু কাউসার সোহেলের বিরুদ্ধে একই সম্পত্তি ১৪ জনের কাছে বিক্রি এবং সেই সম্পত্তি দিঘিরপাড় অগ্রণী ব্যাংক শাখায় বন্ধক (মর্টগেজ) রেখে ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোহন ছৈয়াল বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গিবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেশনাল মৌজার খতিয়ান নং আরএস-৫৯, দাগ নং আরএস-২, রকম—নাল, পরিমাণ ৫৯ শতক জমির মালিক ছিলেন শাহানা আজম খান। ওই জমির মধ্যে ৫৫ শতক জমি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন সোহেল। পরবর্তীতে ওই পাওয়ারের ভিত্তিতে ২০২০ সালে মোহন ছৈয়ালের কাছে ১৩ শতক জমি বিক্রি করেন তিনি।
কিন্তু মোহন ছৈয়ালের কাছে বিক্রির আগেই একই জমি তিনি আরও ১৩ জনের কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, সোহেল ৫৫ শতক জমির পাওয়ার নেওয়া সত্ত্বেও মোট ৮৭ শতক জমি বিক্রির চুক্তি করেন বিভিন্ন জনের সঙ্গে। জমি বিক্রির পরও কাউকেই জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় এখন ওই জমি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোহন ছৈয়াল বলেন, “আমি ১৩ শতক জমি সোহেলের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকায় ক্রয় করেছি। কিন্তু সে আমাকে জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। একই সম্পত্তি সে ১৪ জনের কাছে বিক্রি করেছে এবং ব্যাংকে বন্ধক রেখেছে। এখন জমির দখল নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে—যে কোনো সময় খুনাখুনির ঘটনা ঘটতে পারে। আমি জমি বুঝে নিতে চাইলে সোহেল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছে।”
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু কাউসার সোহেল বলেন, “আমি আমার চাচির কাছ থেকে সম্পত্তির পাওয়ার নিয়ে বিক্রি করেছি। তবে জমির নকশায় পরিমাণ কম আসায় বিষয়টি ঠিক করতে আমি আদালতে মামলা করেছি। নকশা সংশোধন হলে সবাইকে তাদের জমি বুঝিয়ে দেব।”
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন