

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত প্রাঙ্গণে বাদী ও তার স্ত্রী-সন্তানদের উপর প্রকাশ্যে হামলার ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর মামলা নিয়েছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে হামলার শিকার রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় মো: ইসমাইল (৪৬), সাখাওয়াত হোসেন খানের সহকারী হিরন (৩৮), শাহালম, টিটু, রাসেল বেপারী, সাখাওয়াত হোসেন খানের জুনিয়র আইনজীবী আলামিন, খোরশেদ ও বিল্লাল সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, আমার স্বামী ইরফান মিয়া অপর এক ব্যবসায়ী ইসমাইলের কাছে স্যানেটারি পণ্য বিক্রির ২৫ লাখ টাকা পাবেন। গত এক বছর যাবৎ তিনি এই বকেয়া পরিশোধ করছেন না, উল্টো তাদের হুমকি দেন। এই ঘটনায় কয়েকমাস আগে নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলাও করা হয়। মামলাটি আসামিপক্ষের হয়ে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান লড়ছেন।
তিনি আরো বলেন, ওই মামলায় গত রবিবার আদালতে হাজিরা থাকায় আমার স্বামীর সাথে আদালতে যাই। আদালত প্রাঙ্গণে আমাদের দেখতে পেয়ে সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার জুনিয়র আইনজীবী ও সহকারী মিলে আমাদের উপর হামলা চালান। তাদের হামলায় আমার স্বামী মো. ইরফান মিয়া (৫০), আমি এবং আমাদের দুই পুত্র মো. জিদান (১৮) ও আব্দুল্লাহ (৫) আহত হয়।
রাজিয়া সুলতানার অভিযোগ, ঘটনার পর ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করতে গেলে বিএনপি নেতার নাম থাকায় পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা আসামির তালিকা থেকে বিএনপি নেতা সাখাওয়াতের নাম বাদ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রাজী হইনি। সোমবার সারাদিন থানায় বসে ছিলাম, অনশন করেছি, তবুও মামলা নেয়নি পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে মামলা নেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমার কোন প্রতিপক্ষ সংসদ সদস্য প্রার্থীর ইন্ধনে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না। যারা অভিযোগকারী তাদের সঙ্গে আমার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। একটি পক্ষ বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে এবং আমার ক্লিন ইমেজকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
এদিকে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় আহত রাজিয়া সুলতানা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো৷
মন্তব্য করুন