

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভোলা-৩ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে নিজের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
রোববার বিকেলে লালমোহনে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এর আগে বেলা ১১টায় মেজর হাফিজ মনোনয়ন ফরম জমা উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত দোয়া মোনাজাতের আগে তিনি বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে একের পর এক বিএনপি সহ বিরোধী মতের লোকদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা, নির্যাতন করতো।
আয়না ঘর নামক বন্ধিশালায় রেখে চরম মানবতা বিবর্জিত কাজ করেছে তারা। ‘গুম’ নামে একটা শব্দ আছে বাংলাদেশের মানুষ আগে জানতো না। দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে লালমোহন উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন।
এসময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, আমি এই আসন থেকে মানুষের ভালোবাসায় পরপর ৬বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমার সাথে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদও নির্বাচন করে অর্ধেক ভোট পেয়েছে।
গত ১৬ বছরের নির্বাচনের ইতিহাস তো সবার জানা। শেখ হাসিনা দেখলেন এই আসনে ভোটে তাদের কেউ জিততে পারবে না, তখন তিনি বেঁছে বেঁছে বড় একটা সন্ত্রাসীকে পাঠালেন, তিনি লালমোহনের ভোটারও ছিলেন না।
নির্বাচনের ১৫ দিন আগে এসে বিএনপির এজেন্টদের বাড়িতে গিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। মহিলাদেরকে নির্যাতন করে। বিএনপির কেউ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। অধিকাংশ কেন্দ্র দখল করে এভাবে নির্বাচনের নামে প্রহসন করে।
মেজর হাফিজ বলেন, আমি সত্যিকারে কোন নির্বাচনে হারিনি। পুলিশ, সরকার মিলে দুটি নির্বাচনে তারা প্রহসন করে আমাকে হারায়। আমাকে গৃহবন্ধী করে রাখে। এভাবে মনে করেছিলো তারা কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। কিন্তু আল্লাহ ‘একট’ু ছাড় দেন, একেবারে ছেড়ে দেন না। আজকে তারা আল্লাহর হুকুমেই দেশ ছাড়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন, শফিউল্যাহ হাওলাদার, সোহেল আজীজ শাহীন, পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব ছাদেক মিয়া জান্টু, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারী, উপজেলা যুবদল সভাপতি কবির হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক কাজী হাসানুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক বশির হাওলাদার, পৌরসভা যুবদলের সভাপতি মো. জাকির ইমরান, সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বী নাফিজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক প্রভাষক রেজাউর রহমান শাহিন, সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল হাই হাওলাদার, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহিন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ রেজা, অপু হাসান,
মন্তব্য করুন
