

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভোলার দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট–৩ চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জানান, নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়া অন্তত ৮ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং কয়েকজন এখনো নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় অ্যাডভেঞ্চার–৯ লঞ্চটি এমভি জাকির সম্রাট–৩ এর মাঝামাঝি অংশে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চের দ্বিতীয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সংঘর্ষের সময় লঞ্চের পাশের অংশে অনেক যাত্রী অবস্থান করছিলেন। ধাক্কার তীব্রতায় কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। তাদের মধ্যে কিছু যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান থাকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় জেলে ও নৌযান শ্রমিকদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চটি মাঝনদীতে ভাসমান অবস্থায় থাকলে ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী–৯ লঞ্চ এগিয়ে এসে অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
নিহতদের মরদেহ ও গুরুতর আহত যাত্রীদের নিয়ে জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চটি চিকিৎসার জন্য চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এ ঘটনায় নৌ-পুলিশ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন
