শুক্রবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের দাপট

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২০ এএম
কুয়াশা
expand
কুয়াশা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে বাতাসে শীতের দাপট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ফলে বেড়েছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।

ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা। সকাল ১০টার পরও চারপাশে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করে। টানা চার দিন ধরে ঠিকমতো সূর্যের দেখা মিলছে না।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু সময় সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপ ছড়ানোর আগেই আবার কুয়াশায় ঢেকে যায় আকাশ। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার দাপট আরও বেড়ে যায়। রাতভর শিশিরের মতো টিপটিপ করে ঝরে কুয়াশা।

ঘন কুয়াশার প্রভাবে সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারে মানুষের চলাচল কমে গেছে। দিনের বেলাতেও মহাসড়ক ও সড়কে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের পরিমাণ কমে যাওয়ায় তাদের দৈনিক আয়ও কমে গেছে। রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে৷।

জেলা শহরের ইজিবাইক চালক হাদিউল ইসলাম বলেন,আমরা গরীব মানুষ,পেটের দায়ে প্রতিদিন ভোরেই রাস্তায় নামতে হয়। কিন্তু কয়েকদিন ধরে যাত্রী কম। আগে দিনে ৬-৭শ টাকা আয় হতো, এখন সারাদিনে ৩০০-৪০০ টাকা আয় করতেই কষ্ট হয়ে যায়।

একই কথা বলেন জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার পাথর শ্রমিক আব্দুল জলিল,তিনি বলেন,ঘন কুয়াশার সাথে কনকনে শীত৷ অনেক কষ্ হচ্ছে আমাদের ।

এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে অথবা মাঝামাঝি সময়ে জেলায় দ্বিতীয় দফায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X