

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


উৎসাহ-উদ্দীপনা, স্মৃতিচারণা ও আবেগঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ফরিদপুর জেলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী উৎসব শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (২৫-২৬ ডিসেম্বর) নানা আয়োজনে এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গৌরবময় পথচলা উদযাপন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ফরিদপুর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মিলনমেলার মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনের স্মৃতি রোমন্থন করেন। দীর্ঘদিন পর পুরনো সহপাঠীদের সঙ্গে সাক্ষাতে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
আগত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানান, অনেক সমবয়সী বন্ধু আজ আর বেঁচে নেই, তবুও স্কুলের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানেই তিনি পুনর্মিলনীতে অংশ নিতে এসেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর এসেম্বলি, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নজরুল ইসলাম।
এছাড়া বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রীতিলতা সরকার এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ওয়াহিদ মিয়া কুটি।
বক্তারা বলেন, ফরিদপুর জিলা স্কুল শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি এ অঞ্চলের শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক অনন্য বাতিঘর। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে অসংখ্য গুণীজন দেশ ও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আয়োজক কমিটি জানায়, পরবর্তী পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণা, বিনোদনমূলক আয়োজন ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় স্কুলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে আলোচনা সভা এবং রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
পুরনো স্মৃতি আর নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন, সব মিলিয়ে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি পুনর্মিলনী উৎসব পরিণত হয়েছে এক আবেগঘন ও আনন্দঘন মিলনমেলায়।
মন্তব্য করুন
