শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদারগঞ্জে নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাদের বিএনপিতে যোগদান নিয়ে বিতর্ক

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাদের বিএনপিতে যোগদান
expand
নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাদের বিএনপিতে যোগদান

জামালপুরের মাদারগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই নেতার বিএনপিতে যোগদানকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর ২০২৫) মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী কৃষক লীগের দুই নেতা আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খানের উপস্থিতিতে তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়।

যোগদানকারীরা হলেন—মাদারগঞ্জ শহরের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে ভিক্কু এবং একই এলাকার বাসিন্দা, শহর কৃষক লীগের সদস্য মোশারফ হোসেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বা জেলা পর্যায়ের কোনো নির্দেশনা ছাড়াই বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি কর্মী বলেন, যারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করে সুবিধা নিয়েছে, তারা এখন আবার নতুন দলে এসে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা অবমূল্যায়িত হবে।

এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—দলের আদর্শ ও আন্দোলনের ইতিহাস উপেক্ষা করে কীভাবে এ ধরনের ব্যক্তিদের দলে নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, দলের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা ছাড়া এ ধরনের যোগদান গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বিষয়টি দ্রুত দলীয় ফোরামে তুলে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানান।

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের এমপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই।

এদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, “কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে বরণ করা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নীতিমালা অনুযায়ীই হবে।”

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে ফোনে পাওয়া গেলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিচ্ছি।

ঘটনাটি নিয়ে মাদারগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X