

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রশাসন অভিযান চালিয়ে একদিকে ধ্বংস করছে অবৈধ এসব ভাটা। দিন কয়েকের মধ্যেই আবার এসব ভাটা পুনরায় চালু করছে মালিকরা। এ যেন চোর-পুলিশ খেলা।
উপজেলা জুড়ে অর্ধ শতাধিক এসব অবৈধ ইটভাটার সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ট্রাক। সবমিলিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি এখন পরিবেশ দুষনের নিরাপদ তীর্থস্থান।
উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে গত চারদিন ধরেই ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে শত শত একর ভুমির টপসয়েল! ভুমিখেকো এ মহাযজ্ঞে ব্যবহৃত হচ্ছে অন্তত ত্রিশটি দানব বলিট্রাক।
ধুলোবালি, আতংক আর সড়ক ক্ষতিগ্রস্থের কারন দেখিয়ে স্থানীয়রা বাধা দেয়। লাভ হয়নি, ক্ষমতার দাপটে রুট পরিবর্তন করে প্রভাবশালীরা। ৩দিন চলার পর দ্বিতীয় রুটেও বাধা দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে প্রভাবশালীরা এসে বাকবিতন্ডায় জড়ান স্থানীয়দের সাথে।
অবশেষে সময় নেন একদিনের। সাময়িক অনুমতি দেন স্থানীয়রা। এরপর দেনদরবার চলছে নির্বিঘ্নে যেন বলিট্রাক চালাতে পারেন সে চেষ্টায়।
পুরো প্রক্রিয়ার সবগুলোই দেশের আইনে নিষিদ্ধ। তবুও কারো ভ্রুক্ষেপ নেই কারো। স্থানীয়রা বলছেন এভাবে চলতে পারে না!
পোড়ামাটির অধুনা সভ্যতা নাকি বেঁচে থাকার ন্যুনতম প্রয়োজন- কোনটিই এখন সবার আগে দরকার? এ প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে মেলাতে হয় অনেক কিছু! ভুমি মালিকরা নানান প্রলোভনে বিক্রি হচ্ছেন টাকার কাছে। এ পক্ষ, ও পক্ষ- যেন এক ছোট গল্পের নামান্তর, কোথাও কেউ নেই! পরিবেশ, কৃষিজমি রক্ষা নাকি ইটপাথুরের সভ্যতা- উত্তর খোঁজার সময় এখনিই।
স্থানীয়দের বালির বাঁধ রুপি এ বাধায় আসলেই কি বন্ধ হবে ভুমি খেকোদের দৌরাত্ম? নাকি ঘুরে ফিরেই স্ব দর্পে ফিরবে প্রভাবশালীরা।
মন্তব্য করুন

