

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঝিনাইদহে প্রকৃতির এক আজব ও বিরল সৃষ্টি—একটি খেজুরগাছে পাওয়া গেছে ২২টি মাথা। মাটিতে একটি মাত্র গাছ দাঁড়িয়ে থাকলেও ওপরে তাকালেই চোখে পড়ে ২২টি মাথাসহ ব্যতিক্রমী এই খেজুরগাছ। প্রতিটি মাথায় রয়েছে আলাদা আলাদা সতেজ পাতা। এর মধ্যে এখনও ১৪টি মাথা জীবিত রয়েছে।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে এ বিরল খেজুরগাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে। গাছটির মালিক ওই গ্রামের মৃত আবু তালেব মুন্সীর ছেলে ডাক্তার সলেমান মুন্সী। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, খেজুরগাছটির আনুমানিক বয়স প্রায় ৩০ বছর।
মেহগনি ও আম বাগানের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা ২২ মাথাওয়ালা এই খেজুরগাছটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। অনেকের কাছে এটি যেন প্রকৃতির নিপুণ কারুকাজ—মনে হয় কোনো শিল্পী ফুলদানিতে সাজিয়ে রেখেছেন গাছটি। অবাক করার বিষয় হলো, গাছটির গোড়ার তুলনায় বহুগুণ ভারী ২২টি মাথা নিয়েও এটি আকাশপানে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
একসময় এই খেজুরগাছ থেকে রস আহরণ করা হলেও বর্তমানে আর তা সম্ভব হচ্ছে না। দর্শনার্থীরা জানান, এমন দৃশ্য অত্যন্ত বিরল। তারা একে আল্লাহর ব্যতিক্রমী নিদর্শন হিসেবে দেখছেন। গ্রামের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ এই গাছটি একনজর দেখতে আসছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এটি গাছের একটি জেনেটিক সমস্যা। হরমোনজনিত কারণে একবীজপত্রী উদ্ভিদে একাধিক শাখা-প্রশাখা গজাতে পারে। তবে এমন ঘটনা অত্যন্ত বিরল।
মন্তব্য করুন
