শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উখিয়ার কৃষক লীগ নেতা মাসুদ আটক

উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
উখিয়া উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসেদুর রহমান মাসুদ
expand
উখিয়া উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসেদুর রহমান মাসুদ

উখিয়া উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসেদুর রহমান মাসুদকে গ্রেফতার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। একসময় তিন সন্তানের জননী নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আলোচনায় আসা এই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সাংবাদিক হয়রানি এবং নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের পতনের প্রায় দুই বছর পর বালুখালী ফাঁড়ির ইনচার্জের নেতৃত্বে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুদ উখিয়া উপজেলার পালংখালী ফারির বিল এলাকার সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ রফিকের স্ত্রী জুমাকে (তিন সন্তানের জননী) নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রফিকের বিপুল অর্থ এবং স্বর্ণ নিয়ে পালানোর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মাসুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, এতে তার সম্মানহানি এবং আওয়ামী লীগের সম্মানহানি হয়েছে। এরপর থেকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকদের হয়রানি করে আসছিলেন।

মাসুদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি তার পিতা ডাক্তার সিকান্দারকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে বিভিন্ন টেন্ডারবাজি এবং চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগের আমলে তার নেতৃত্বে একটি টিম নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে নৌকা মার্কায় সিল মারার কাজ করত। এছাড়া, তার ভাই-আত্মীয়রা মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে চাকরি এবং টেন্ডার লুটতেন। জেলা কৃষক লীগের নেতা আতিকুর রহমানের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ার পর একবার মাসুদকে মারধরের খবরও ছড়িয়ে পড়ে।

আওয়ামী লীগের আন্দোলনের সময় মাসুদের রেস্টুরেন্ট 'রসি হাউস' থেকে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এরা আন্দোলনের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। এছাড়া, সাংবাদিক, এনজিও সংস্থা কেউ তার থেকে রেহাই পায়নি।

সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ রফিক বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন। মাসুদের আটকের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় তিনি বলেন, "তখনকার পুলিশ আমার মামলা গ্রহণ করেনি, মাসুদের ক্ষমতার প্রভাবে। উল্টো আমার পরিবার এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা দিয়েছে সে। আমি কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করব, আমার মামলা আমলে নেওয়ার জন্য এবং নিরীহ সাংবাদিকদের অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা, তদন্ত করে দেখতে পারেন। মাননীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ রইল।"

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাসুদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X