

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে এক নারীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর ধাওয়ার মুখে পড়ে পুকুরে লাফ দেওয়া এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরদিন পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের ক্ষ্মণপুর গ্রামে। নিহত যুবকের নাম সেলিম মিয়া। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার খাসরা চাঁন্দের ভিটা গ্রামের মাহতাবের ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন। কাজের সূত্রে মনোহরগঞ্জ উপজেলার ভাউপুর গ্রামে বসবাস করতেন, ভাউপুর গ্রামে তিনি বিয়েও করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সেলিম ওই রাতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী তাকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তিনি গণপিটুনির আশঙ্কায় দৌড়ে চৌধুরীবাড়ির একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। রাতেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হলেও পুকুরে ঘন কচুরিপানা থাকায় তল্লাশি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। পরদিন মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে আবারও ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুরে অনুসন্ধান চালানো হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুকুরের মাঝামাঝি অংশে সেলিমের নিথর দেহ ভেসে ওঠে। পরে বিকেলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রবাসী রুবেলের স্ত্রী শিল্পী আক্তার তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে এনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের লিডার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, রাতে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পুকুরে অতিরিক্ত কচুরিপানা থাকায় উদ্ধার কাজ সম্ভব হয়নি। পরদিন সকালে কুচকাওয়াজ শেষে পুনরায় তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে পুকুরের মাঝখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চোর সন্দেহে ধাওয়া দেওয়া হতে পারে। তদন্তের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
