

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রবাসী পলাশ মোল্যার সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যাকাণ্ডে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় ঝুলন্ত মরদেহে ব্যবহৃত রশির সূত্র ধরে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. ইউনুচ মোল্যা (৪৬) নামের এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ইউনুচ মোল্যাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। গ্রেপ্তারকৃত ইউনুচ মোল্যা নিহত জায়ানের বাড়ির পাশের পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে পাকুড়িয়া গ্রামের বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে শিশুটির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে উঠে আসে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখতে ব্যবহৃত রশিটি। পুলিশ তদন্তের অংশ হিসেবে রশিটির উৎস অনুসন্ধান শুরু করে। পরে পাশের টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকানে গিয়ে জানতে পারে, ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা দোকানি মফিজ খানের কাছ থেকে একই ধরনের একটি রশি কিনেছিলেন। উদ্ধারকৃত রশির সঙ্গে সেটির হুবহু মিল পাওয়ায় তাকে সন্দেহের তালিকায় আনে পুলিশ। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউনুচ রশি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
পুলিশের দাবি, তার এই অস্বীকার তদন্তে সন্দেহ আরও ঘনীভূত করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক সুজন বিশ্বাস জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইউনুচ মোল্যাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও নিবিড় তদন্তের স্বার্থে বুধবার আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ঘটনার কিছু প্রাথমিক সম্পৃক্ততা ও রশি কেনা সম্পর্কে মিথ্যা বলায় সন্দেহের ভিত্তিতে ইউনুচ মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন