

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন দামেস্কের পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সোমবার (১০ নভেম্বর)।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দীর্ঘদিনের একনায়ক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর শারা সিরিয়ার নেতৃত্বে আসেন। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি নিজেকে এক মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নানা দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছেন।
ওয়াশিংটনে তার এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি করানো। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সময় মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ঘোষণা দেয় ‘সিজার আইন’-এর অধীনে কার্যকর থাকা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ১৮০ দিন স্থগিত থাকবে। তবে এসব নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কেবল মার্কিন কংগ্রেস।
আসাদ সরকারের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সিরিয়ার ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে সেগুলো শিথিল করার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রায় ছয় মাস আগে সৌদি আরবে শারার সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। ওই বৈঠকেই ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেন। এবার ওয়াশিংটনে সেটির আনুষ্ঠানিক আলোচনাই মূল লক্ষ্য ছিল।
প্রোটোকলবিহীন সফরে ওয়াশিংটনে পৌঁছানো শারাকে ট্রাম্প একজন দৃঢ় ও সক্ষম নেতা হিসেবে অভিহিত করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, সিরিয়াকে এগিয়ে নিতে আমরা যতটা সম্ভব সহায়তা করব।
যদিও শারার অতীত নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, তবু ট্রাম্প বলেন, প্রত্যেক নেতারই অতীত থাকে; গুরুত্বপূর্ণ হলো ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা।
মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসা শারা গত বছর ইসলামপন্থি যোদ্ধাদের নেতৃত্বে এক আকস্মিক অভিযানের মাধ্যমে ৮ ডিসেম্বর আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
সাম্প্রতিক বৈঠকে নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নতুন নীতি গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্তে সম্ভাব্য নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতার কাজ করছে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, দামেস্কের একটি বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে, সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, দেশটি সম্প্রতি মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেটবিরোধী আন্তর্জাতিক জোটের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু
মন্তব্য করুন
