

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আমেরিকার ডানপন্থী রাজনীতির প্রভাবশালী মুখ এবং টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ক (৩১) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় অজ্ঞাত এক হামলাকারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিটি ঘাড়ে আঘাত হানলে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কার্ক ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী।
ইউটাহ গভর্নর স্পেন্সার কক্স ঘটনাটিকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “আমাদের রাজ্যের জন্য এটি এক অন্ধকার দিন।” প্রাথমিকভাবে এফবিআই জানিয়েছিল, সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তবে পরে ইউটাহ পাবলিক সেফটি কমিশনার জানান, হামলাকারী এখনো পলাতক, যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বক্তৃতার সময় গুলির শব্দ হতেই চার্লি কার্ক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে। আরেকটি ভিডিওতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বার্তায় শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “চার্লি কার্ক ছিলেন এক কিংবদন্তি। তরুণদের হৃদয় জয়ের ক্ষেত্রে তার মতো কাউকে দেখিনি।” ট্রাম্প তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে কার্কের ভূমিকাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছেন।
কার্ক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ রক্ষণশীল ছাত্র সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। সংগঠনটি গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে তরুণ ভোটারদের সক্রিয় করতে বড় ভূমিকা রাখে। তিনি জনপ্রিয় রেডিও ও পডকাস্ট দ্য চার্লি কার্ক শো উপস্থাপনা করতেন এবং সম্প্রতি ফক্স নিউজের ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অনুষ্ঠানে সহ-উপস্থাপক হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তার অনুসারীর সংখ্যা ছিল ৫৩ লাখের বেশি। তিনি “আমেরিকা কামব্যাক ট্যুর” নামে দেশজুড়ে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন। ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানটি ছিল সেই ধারাবাহিকতার প্রথম আয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে এই ঘটনা বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে। এর আগে গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দু’বার হত্যাচেষ্টা হয়েছিল, যা দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতার ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে স্পষ্ট করে তুলেছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    