

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তানে তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ঘিরে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। কারাগারে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে, এমন অভিযোগ তার পরিবার বারবার জানালেও দেখা করার অনুমতি পাচ্ছেন না তার তিন বোন।
মঙ্গলবার আদিয়ালা কারাগারের সামনে তারা উপস্থিত হলে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার অভিযোগ ওঠে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজিত করে তোলে।
এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ইমরান খানের মৃত্যুর দাবি তুললে তার সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার এলাকায় বিপুল সংখ্যক পিটিআই কর্মী জড়ো হতে থাকেন।
২০২৩ সাল থেকে এই কারাগারেই বন্দি আছেন ইমরান খান। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সরকার সাক্ষাৎ–স্বার্থে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
তিন বোন, নরীন, আলিমা ও উজমা- অভিযোগ করেছেন, তিন সপ্তাহ পার হলেও তাদের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
২৫ নভেম্বর রাতে তারা দলীয় কর্মীদের নিয়ে কারাগারের সামনে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাতের দাবি জানালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পিটিআইয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াদের ওপর ব্যাপকভাবে লাঠিপেটা করা হয়েছে। দলটি ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে।
পাঞ্জাব পুলিশের প্রধানের কাছে পাঠানো চিঠিতে ইমরানের বোনেরা লিখেছেন, কোনো উসকানি ছাড়াই আলো নিভিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। নরীন খান অভিযোগ করেন-৭১ বছর বয়সী হওয়া সত্ত্বেও তাকে টেনে ফেলে মারধর করা হয়েছে এবং আশপাশে থাকা অন্যান্য নারীরাও রেহাই পাননি।
পিটিআই বলছে, ইমরান খানকে সম্পূর্ণ একাকী অবস্থায় রাখা হয়েছে; আইনজীবীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার এক আইনজীবীর মন্তব্য—“এ যেন শক্তির দাপটে পরিচালিত এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি, যেখানে মৌলিক অধিকারও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।”
তবে আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ ও গুজব নাকচ করেছে। ২৬ নভেম্বর দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে- ইমরান খান সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত চিকিৎসা পাচ্ছেন। তার মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থতার খবর ‘নির্ভরযোগ্য নয়’ বলে দাবি করছে তারা।
মন্তব্য করুন

